সকলের তরে সকলে আমরা , প্রত্যেকে আমরা পরের তরে | ভাব সম্প্রসারণ

সকলের তরে সকলে আমরা ,
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে ।

মূলভাব : সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ এককভাবে জীবনযাপন করতে পারে না । পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নিরাপদ জীবন গড়ে তোলা অনায়াসসাধ্য ।

সম্প্রসারিত ভাব : মানুষ একে অন্যের সাহায্য ছাড়া বাঁচতে ও চলতে পারে না । সৃষ্টির শুরুতেই মানুষ এ কথা বুঝতে পেরেছিল । পারস্পরিক সাহায্যের নিশ্চয়তা বিধানে সেদিন তারা সমাজ গড়ে তুলেছিল । মানুষ এখন সমাজ ছাড়া বাঁচতে পারে না । সমাজের প্রতিটি মানুষকে একে অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে হয় । সে কারণে সমাজে একের মঙ্গলের জন্যে অন্যের চিন্তা করার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে । এতে গোটা সমাজের মঙ্গল নিহিত । সবাই যদি শুধু নিজের সুখ - সুবিধায় সর্বশক্তি নিয়োগ করে , তাহলে কারো মঙ্গল হতে পারে না । অপরের মঙ্গলসাধন করতে হলে ত্যাগ স্বীকার করতে হয় । এ ত্যাগই আজ পৃথিবীকে এমন সুন্দর ও সুখের নিবাস করে তুলেছে । তাই নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে সমাজের প্রতিটি লোকের কথা চিন্তা করা প্রত্যেকের একান্ত কর্তব্য । এতে কারো সুখ - সুবিধা নষ্ট হয় না , বরং প্রতিটি মানুষের সুখ - সুবিধা সুনিশ্চিত হয় । আত্মস্বার্থ ও আত্মসুখে মত্ত না হয়ে পরস্পরের মঙ্গলসাধনে নিযুক্ত হলে সামগ্রিকভাবে মানবজাতির মঙ্গল সাধিত হয় । বস্তুত অন্যের মঙ্গল কামনার মধ্যে নিজেরও কল্যাণ নিহিত । আমি যদি অন্যের মঙ্গল চাই , অন্যেরাও আমার মঙ্গল চাইবে । এভাবে পারস্পরিক সহমর্মিতা দ্বারা আমরা শান্তির পৃথিবী গড়তে পারি । অপরের হাসি - কান্না , আনন্দ - বেদনায় শরীক হওয়াই তো মনুষ্যত্বের পরিচয় এবং এতেই পাওয়া যায় নিবিড় আনন্দ ।

মন্তব্য : নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে অপরের মঙ্গল সাধনে জীবনে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায় । পারস্পরিক কল্যাণচিন্তায় সুখী সমাজ বিনির্মান সম্ভব ।

ভিডিও দেখুন



অরো পড়ুন: