ভাব-সম্প্রসারণ: পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন , নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন

পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন , নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন ।

মূলভাব : পরের অনিষ্ট সাধনের পরিণাম ভালো নয় । এতে মূলত নিজের ক্ষতিই করা হয় । এমনকি পরের অনিষ্ট সাধনের চিন্তার মধ্যেও নিজের অনিষ্ট সাধনের সূত্র জড়িয়ে রয়েছে ।

সম্প্রসারিত ভাব : মানুষ সামাজিক জীব । সমাজকে কল্যাণকামী ও সর্বাঙ্গসুন্দর করার জন্য প্রত্যেকটি মানুষের উচিত অন্যের মঙ্গল কামনা করা । প্রকৃতপক্ষে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রেরণা থেকেই সমাজের বিকাশ লাভ । পরোপকার করার মানসিকতা যদি না- ও থাকে , অন্যের ক্ষতি করবার প্রবণতা থাকা উচিত নয় । অন্যের অনিষ্ট সাধন শুধু সমাজগর্হিত কাজই নয় , ধর্মীয় ও নৈতিক বিচারেও বড় অন্যায় । মানুষ হিসেবে পরের জন্য নিজ স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেওয়াই মূল আদর্শ । তারপরেও যারা অন্যের অনিষ্ট সাধনের কথা ভাবে তারা যে খুব লাভবান হয় তা নয় । মূলত তারা নিজের ক্ষতিই সাধন করে । ধ্বনি যেমন প্রতিধ্বনির জন্ম দেয় তেমনি কুচিন্তা মানুষের জন্য বিপদের সৃষ্টি করে । যে অন্যের অনিষ্ট চিন্তা করে সে নিজের অজ্ঞাতে আপন অনিষ্টেরই বীজ বপন করে । কারণ অশুভ চিন্তার পরিণাম অশুভই হয়ে থাকে । আর কেউ যদি অন্যের ক্ষতি করে তাহলে সে নিজের শত্রু ও প্রতিপক্ষ তৈরি করে । আপন কর্মের প্রতিদানস্বরূপ একদিন তাকে মারাত্মক পরিণামের মুখোমুখি হতে হয় । অন্যায় আর অকল্যাণ দুর্ভোগেরই জন্ম দেয় । ব্যক্তিগত সততা আর কল্যাণ চিন্তা মানুষের নিরাপত্তা ও স্বস্তি । এটা সামাজিক অগ্রগতি ও শান্তির পূর্বশর্ত ।

মন্তব্য : পরের অনিষ্ট সাধন থেকে বিরত থাকা সবারই কর্তব্য । পরের অনিষ্ট চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারলে নিজের অনিষ্টও হবে না ।