দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য । সর্পের মস্তকে মণি থাকিলেও তাহা কি ভয়ংকর নহে ?

দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য

অথবা ,
👉🏻দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য । সর্পের মস্তকে মণি থাকিলেও তাহা কি ভয়ংকর নহে ?

মূলভাব : বিদ্যা মানুষের অর্জিত গুণাবলির অন্যতম হলেও বিধান মাত্রই যে সজ্জন , তা নয় । বিদ্বান ব্যক্তি যদি সততার গুণে বিভূষিত না হয় তাহলে তাকে বর্জন করাই শ্রেয় ।

সম্প্রসারিত ভাব : বিদ্যার মতো পরশমণি আর দ্বিতীয়টি নেই । বিদ্বান ব্যক্তিকে সবাই শ্রদ্ধা করে । বিধানের সংস্পর্শে এসে জ্ঞানের আলোয় মন সহায়তায় দেশ ও জাতির উন্নতি ত্বরান্বিত হয় । কিন্তু চরিত্র বিদ্যার চেয়েও বেশি মূল্যবান । যত বড় বিদ্বানই হোক না কেন , চরিত্রহীন লোক কখনো লোকসমাজে প্রশংসা লাভ করতে পারে না । তাকে সকলেই ঘৃণা ও নিন্দা করে থাকে । এরূপ চরিত্রহীন বিদ্বান লোকের সঙ্গ ত্যাগ করাই মঙ্গলজনক । কথিত আছে , কোনো কোনো সাপের মাথায় মহামূল্য মণি রয়েছে । এর একটা মণি সংগ্রহ করতে পারলে বিপুল ধন সম্পদের অধিকারী হওয়া যায় । তাই বলে মণি লাভের জন্য কোনো বুদ্ধিমান লোক সাপের সাহচর্য লাভ করতে চায় না । এতে জীবননাশের আশঙ্কা থাকে । সেরূপ বিদ্যা অমূল্য ধন হলেও চরিত্রহীন দুর্জন বিদ্বান লোকের সাহচর্যে যাওয়া কিছুতেই মঙ্গলজনক নয় । এতে মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ চরিত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে । সচ্চরিত্র ব্যক্তি মূর্খ হলেও অসচ্চরিত্র বিদ্বান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর । কারণ , চরিত্রহীনের বিদ্যা - বুদ্ধি জ্ঞানবান বা চরিত্রবান ব্যক্তির কোনো কাজে লাগে না । কাজেই জীবনের সর্বক্ষেত্রেই অসচ্চরিত্র ব্যক্তির সাহচর্য পরিত্যাগ করে চলাই বাঞ্ছনীয় ।

মন্তব্য : চরিত্র মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । চরিত্র নষ্ট হলে মানুষ আর মানুষ থাকে না ; পশুতে পরিণত হয় । তাই চরিত্রহীন বিধানের সাহচর্য অবশ্যই পরিত্যাজ্য ।