প্রতিবেদন: সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় তোমার এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো

বন্যায় এলাকার ক্ষয়ক্ষতি

আলোচ্য বিষয়:
👉🏻সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় তোমার এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি প্রতিবেদন লিখো ।
👉🏻বন্যায় তোমার এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো ।
প্রতিবেদন: সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় তোমার এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো
১৫/০৭/২০২৪
বরাবর
মাননীয় জেলা প্রশাসক
জেলা :__________

বিষয় : সাম্প্রতিক ‘———— ’ জেলার ‘ ————’ উপজেলার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে প্রতিবেদন।

জনাব ,

আমি ‘ ______ ’ জেলার ‘ _______ ’ উপজেলার ‘ _______ ’ গ্রামের একজন সচেতন নাগরিক। আপনি জানেন সম্প্রতি বাংলাদেশ যে ভয়াবহ বন্যার শিকার হয়েছে তার মধ্যে অত্র জেলার ‘ ________ ’ উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আপনার সদয় অবগতি ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বন্যাজনিত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত সরেজমিন প্রতিবেদনটি পেশ করলাম ।

প্রতিবেদন তৈরির স্থান : উপজেলা :_______, জেলা :_______।

১. গত মধ্য জুলাই থেকে বন্যার পানি বাড়তে থাকে এবং আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে ।

২. বন্যায় উপজেলার ২ লক্ষ লোক সম্পূর্ণরূপে এবং ৫০ হাজার লোক আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

৩ . প্রায় ১০০০ কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে । গৃহহীন হয়েছে ৫০০০ লোক । বন্যার পানি নেমে গেলেও এসব লোক এখনও বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছে । এদের অধিকাংশ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও বড় রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে । কেউ কেউ রয়েছে সরকার প্রদত্ত আশ্রয় শিবিরে ।

৪ . পানিতে ডুবে , সাপের কামড়ে ও পেটের পীড়ায় মোট ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে । এখনও পানিবাহিত বিভিন্ন পেটের পীড়ার প্রাদুর্ভাব রয়েছে ৷

৫. ২ কিলোমিটার পাকা রাস্তা আংশিক ও ১০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে । অন্তত ৫ টি ব্রিজ ধসে পড়েছে । অসংখ্য কালভার্ট ভেঙে গেছে ।

৬ . বন্যার পানি নামার সাথে সাথে উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদীর দু'তীরে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে । ইতোমধ্যে প্রায় ৫ শ পরিবার তাদের ভিটেমাটি হারিয়েছে ।

৭. জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জানিয়েছে সর্বমোট ২০০ নলকূপের পানি পানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ।

সুপারিশসমূহ : উল্লিখিত ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে আপনার সদয় বিবেচনার জন্য নিম্নলিখিত সুপারিশগুলোর জোর প্রস্তাব করছি ।

ক . অনতিবিলম্বে সমন্বিত পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নিতে হবে । অন্যথায় অসহায় বিপন্ন জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পাবে ।

খ . বিশেষ করে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বিধ্বস্ত রাস্তাঘাটগুলো মেরামত করতে হবে । এতে পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য সংকটও দূরীভূত হবে ।

গ . বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে সহজশর্তে এমনকি বিনা সুদে কৃষিঋণ বিতরণের জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । অন্যথায় কৃষকগণ নতুন করে ফসল ফলাতে এবং গবাদিপশু ক্রয় করতে সক্ষম হবে না । এতে আগামীতে তাদের আরও দুর্ভোগের শিকার হতে হবে ।

ঘ. ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মেরামত জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে ।

ঙ. নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশু প্রকল্প গ্রহণ আবশ্যক । যারা নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নিতে হবে ।

প্রতিবেদক
আনিসুল ইসলাম
গ্রাম :_________
পোস্ট :_________
উপজেলা :_________
জেলা :_________